
📅Duration: ১.৫ মাস | ⏱️ ২১টি লাইভ ক্লাস | ২.৫ ঘণ্টা করে 🧪 Real Projects | Internship Ready | Freelancers, Job Seekers & Entrepreneurs- এর জন্য পারফেক্ট
যেকোনো ব্যবসার ভিত্তি শক্ত হলে তবেই তা টিকে থাকে দীর্ঘমেয়াদে। অনেকেই ব্যবসা শুরু করেন ভালো আইডিয়া বা প্রোডাক্ট দিয়ে, কিন্তু সঠিক ব্যবসা বোধ ও কাঠামোর অভাবে সেটি টেকসই হয় না। Digital PowerPack কোর্সের Business Fundamentals মডিউলটি তৈরি করা হয়েছে যেন একজন উদ্যোক্তা বা ভবিষ্যৎ উদ্যোক্তা শুরুতেই একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে নিতে পারেন।
Value Proposition তৈরি
আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কেন মানুষ কিনবে? প্রতিযোগীদের থেকে আপনি কীভাবে আলাদা? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নিয়ে একটা স্পষ্ট ও শক্তিশালী Value Proposition তৈরি করাই সফল মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিংয়ের প্রথম ধাপ।
আপনার গ্রাহক কারা? তাদের প্রয়োজন, আচরণ, সমস্যা এবং ক্রয়ক্ষমতা কেমন? একজন সফল উদ্যোক্তা কাস্টমার প্রোফাইল বুঝে কনটেন্ট, অফার এবং প্রোডাক্ট ডিজাইন করে থাকেন।
প্রতিযোগিতা ও মার্কেট রিসার্চ
যে মার্কেটে আপনি কাজ করছেন সেখানে কী ধরনের প্রোডাক্ট চলছে, কাস্টমার কী চাচ্ছে, এবং প্রতিযোগীরা কী দিচ্ছে—এই বিষয়গুলো না জানলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমাদের কোর্সে আপনাকে শেখানো হবে কীভাবে মার্কেট রিসার্চ ও কম্পেটিটর অ্যানালাইসিস করতে হয়।
একটি ব্যবসাকে পরিপূর্ণভাবে পরিচালনা করতে হলে শুধু “বড় হতে চাই” বললে হবে না। নির্দিষ্ট লক্ষ্য (goal) ও পরিমাপযোগ্য সূচক (KPI) থাকতে হবে। আমরা দেখাব কীভাবে আপনার ব্যবসার জন্য SMART goals নির্ধারণ করবেন এবং সেগুলো কীভাবে নিয়মিত ট্র্যাক করবেন।
সঠিক ব্যবসার মডেল গঠন
আপনার ব্যবসার আয় হবে কোন পদ্ধতিতে? একবার বিক্রয়, সাবস্ক্রিপশন, সার্ভিস ফি, নাকি অ্যাফিলিয়েট মডেল? সঠিক রেভিনিউ স্ট্রিম নির্বাচন না করলে আয় স্থায়ী হবে না। এখানে আপনি বিভিন্ন সফল ব্যবসার মডেল বিশ্লেষণ করে শিখবেন কোনটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
যারা নতুন ব্যবসা শুরু করতে চান
যারা ব্যবসা করছেন কিন্তু গঠনমূলক পরিকল্পনা নেই
যারা মার্কেটিং বা কনটেন্ট করার আগে বিজনেস স্ট্র্যাটেজি বোঝার প্রয়োজন বোধ করছেন
যারা এক্সপোর্ট/ইম্পোর্ট, ই-কমার্স, সার্ভিস বা এজেন্সি টাইপ বিজনেস পরিচালনা করছেন
Business Fundamentals সেশনট আপনার ব্যবসাকে শুরুর দিকেই একটি নির্ভরযোগ্য কাঠামো দেবে। যা আপনাকে শুধু আইডিয়া নয়, বাস্তব পরিকল্পনার পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
একটি ভালো বিজনেস আইডিয়া, পরিকল্পনা ও ফাউন্ডেশন থাকলেও কাস্টমার না এলে ব্যবসা টিকবে না। আর সেই কাস্টমার আনার সবচেয়ে কার্যকর এবং ডেটা-ড্রিভেন উপায় হলো Digital Marketing।
অনলাইন মার্কেটিং শুধু ফেসবুক পোস্ট বা গুগলে বিজ্ঞাপন দেওয়া নয়—এটি একটি কৌশলগত প্রসেস, যার মাধ্যমে আপনি কাস্টমারকে চিনবেন, তার কাছে পৌঁছাবেন, এবং তাকে ক্রেতায় রূপান্তর করবেন।
১. Marketing Funnel
একজন কাস্টমার কখন আপনার ব্র্যান্ডের নাম শুনে, কখন আগ্রহী হয়, কখন কিনে এবং কেন আবার ফিরে আসে—এই সম্পূর্ণ যাত্রাটিকে বলা হয় Marketing Funnel। এই ফানেল বুঝে আপনি তৈরি করতে পারবেন টার্গেটেড কন্টেন্ট, অফার এবং বিজ্ঞাপন।
২. Media Planning ও Campaign Structure
একজন ডিজিটাল মার্কেটারকে জানতে হয় কোথায় কিভাবে বাজেট খরচ করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে। এই মডিউলে শিখবেন কীভাবে মিডিয়া প্ল্যান তৈরি করবেন, বাজেট বরাদ্দ করবেন এবং কোন প্ল্যাটফর্মে কী ধরনের কন্টেন্ট বা বিজ্ঞাপন কাজ করে।
৩. Meta, Google, Email & SEO – কীভাবে কাজ করে?
Meta Ads (Facebook, Instagram): কীভাবে বিজ্ঞাপন তৈরি করবেন, কাস্টম অডিয়েন্স সেট করবেন এবং কনভার্সন ট্র্যাক করবেন
Google Ads: সার্চ, ডিসপ্লে ও ভিডিও বিজ্ঞাপন কীভাবে কার্যকরভাবে চালাতে হয়
Email Marketing: কীভাবে সাবস্ক্রাইবার তৈরি করবেন, কনভার্টিং ইমেইল লিখবেন এবং অটোমেশন ব্যবহার করবেন
SEO: কীওয়ার্ড রিসার্চ, কনটেন্ট অপ্টিমাইজেশন এবং গুগলে ভালো র্যাংক পাওয়ার পদ্ধতি
অনেকেই ভুল করেন—তারা শুধু লাইক, রিচ বা ক্লিক বাড়াতে চান। কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে আসল লক্ষ্য হলো ব্যবসার প্রবৃদ্ধি। আমাদের কোর্সে আপনাকে শেখানো হবে কীভাবে মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যানালিটিক্স কনসেপ্টের মাধ্যমে সেলস, লিড বা কাস্টমার রিটেনশন বাড়ানো যায়।
বিপুল বাজেট খরচ হচ্ছে, অথচ রিটার্ন নেই
→ সঠিক মার্কেটিং ফানেল বা কনভার্সন ট্র্যাকিং সেটআপ না থাকার ফল।
অডিয়েন্স আছে, কিন্তু কাস্টমার নয়
→ ভুল কনটেন্ট, ভুল প্ল্যাটফর্ম বাছাই, বা কাস্টমার প্রোফাইল না বোঝা।
ফলোয়ার বাড়ছে, অথচ ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ছে না
→ কনটেন্টে ব্র্যান্ড পজিশনিং বা স্টোরিটেলিং নেই।
একটা সময় ছিল যখন শুধু প্রোডাক্ট থাকলেই চলত, কিন্তু এখন মানুষ কিনে ভালো অভিজ্ঞতা, বিশ্বাস, আর গল্প। Content Marketing মানে শুধু পোস্ট বানানো নয়—মানে হল value দেওয়া, যাতে কাস্টমার organically আপনার দিকে আসে।
ধরুন কেউ একটা স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বিক্রি করছেন। তিনি যদি শুধু “Buy Now” বলার বদলে, স্কিন টাইপ অনুযায়ী সমস্যা আর সমাধানের ভিডিও দেন, মানুষ সেটা দেখে প্রোডাক্টেও আগ্রহী হবে। এটা হল educational content.
কীভাবে কনটেন্ট আইডিয়া তৈরি করবেন (audience base করে)
ভিডিও, রিল, ব্লগ, গ্রাফিক্স – কোন চ্যানেলে কেমন কনটেন্ট দিতে হয়
কীভাবে storytelling দিয়ে brand build করতে হয়
কীভাবে কনটেন্ট দিয়ে engagement ও conversion আনা যায়
Content এখন আর ‘nice to have’ না—এটা একটা business strategy, যেটা লংটার্ম গ্রোথ এনে দেয়।
বর্তমানে প্রতিটি brand–ছোট হোক বা বড়—content দিয়েই audience এর মনোযোগ কাড়ছে। Social Media Algorithm গুলোও value-based content কে প্রমোট করে।
এই কারণেই যারা কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি বোঝে, তারা সহজেই job পায়, ক্লায়েন্ট ধরে, অথবা নিজের বিজনেসে স্কেল করতে পারে।
একজন উদ্যোক্তা, যিনি নিজের প্রোডাক্ট নিয়ে ক্যাম্পেইন করতে চান, কিন্তু জানেন না কীভাবে customer emotion ধরতে হয়।
একজন freelancer, যিনি ভিডিও এডিটিং জানেন, কিন্তু জানেন না কীভাবে ভিডিও content plan করে ক্লায়েন্টকে প্রভাবিত করবেন।
অথবা একজন চাকরিজীবী, যিনি personal brand build করতে চান LinkedIn-এ, অথচ কনটেন্ট লিখে express করতে পারেন না।
What to post, when to post, where to post—and most importantly, why it matters.
ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর একটি হচ্ছে ক্লায়েন্ট হান্টিং। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পর কাজ পাচ্ছেন না, কিংবা ক্লায়েন্টদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে পারছেন না। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কীভাবে আপনি সঠিক ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন? কীভাবে তাদের সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্ক গড়তে পারবেন?
যেকোনো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে (যেমন Upwork, Fiverr, Freelancer) প্রোফাইল তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রোফাইল যেন স্পষ্টভাবে আপনার স্কিল, অভিজ্ঞতা এবং পারফরম্যান্স উপস্থাপন করে। Winning Proposal লিখতে শিখুন, কারণ প্রপোজালই প্রথম ধাপ যে আপনি ক্লায়েন্টের মন জয় করতে পারবেন। একজন ক্লায়েন্ট পোর্টফোলিও দেখে আপনাকে বেছে নেবে না, তাদের উচিত বুঝতে, আপনি তাদের সমস্যা কিভাবে সমাধান করতে পারবেন।
একটি জিনিস মনে রাখুন, ক্লায়েন্টরা সাধারণত কেবল স্কিলসেট দেখেন না, তারা প্রথমে আপনার proposition বা সমাধান দেখেন। আপনি যদি ক্লায়েন্টকে বোঝাতে পারেন যে, আপনার স্কিল তাদের বর্তমান সমস্যার সমাধান করতে পারবে, তাহলে কাজের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যাবে। তাই প্রপোজালে ক্লায়েন্টের সমস্যার সমাধান কীভাবে আপনি করবেন, তা খুবই স্পষ্টভাবে উল্লেখ করুন।
কেবল ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে থাকা যথেষ্ট নয়। LinkedIn বা Twitter মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রোফাইল তৈরি করে, আপনি অনেক নতুন ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। Cold Emailing বা Cold Calling পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছানো একটি কার্যকরী কৌশল। তবে, সেই যোগাযোগটি যেন খুবই প্রফেশনাল এবং সুনির্দিষ্ট হয়। আপনার প্রোফাইলের লিঙ্ক বা আপনার কাজের নমুনা শেয়ার করুন, এবং তাদের সমস্যার সমাধান কীভাবে করতে পারবেন তা জানিয়ে দিন।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রথম দিকটা একদম সহজ নয়। কিন্তু, যদি আপনি self-discipline, consistent effort, এবং client-centric mindset বজায় রাখতে পারেন, তাহলে একসময় আপনি নিজেই আপনার পায়ে দাঁড়িয়ে যেতে পারবেন।
অনেকে Ads চালিয়ে বলেন, “ফল পাচ্ছি না।” কারণ তারা জানেন না, কোন অ্যাড কেমন পারফর্ম করছে। এখানেই আসে Performance Marketing—যা শেখায় কীভাবে ডেটা দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
কীভাবে Meta & Google Ads সঠিকভাবে সেটআপ করতে হয়
অডিয়েন্স অনুযায়ী টার্গেটিং ও বাজেট সেট করতে হয়
কিভাবে Conversion Tracking করে ROI বোঝা যায়
কীভাবে A/B Testing করে ভালো কাজ করা অ্যাড চিহ্নিত করা হয়
একটা Ad যদি ১০,০০০ বার দেখানো হয় (Impressions) এবং ৩০০ জন ক্লিক করে (Clicks), তাহলে CTR হয় ৩%
আরেকটা Ad ৮,০০০ বার দেখানো হলেও ৫০০ ক্লিক পেলে CTR হয় ৬.২৫%
পারফরম্যান্স মার্কেটিং জানলে আপনি বুঝতে পারবেন—দ্বিতীয় অ্যাডটাই বেশি এফেক্টিভ।
কম খরচে বেশি রেজাল্ট আনতে চাইলে, ডেটা বুঝতে শিখতেই হবে।
আবার ধরুন, আপনি একই পণ্যের জন্য দুই ধরনের ভিডিও কনটেন্ট প্রকাশ করলেন:
Video A:
Reach: ৫,০০০
Engagement: ৭৫
Website Clicks: ২০
Video B:
Reach: ৩,৫০০
Engagement: ২৫০
Website Clicks: ৭৫
এই মেট্রিকস থেকে বোঝা যায় Video B অনেক কম রিচ পেয়েও বেশি রেসপন্স এনেছে। কারণ হয়তো সেখানে storytelling ছিল, বা CTA স্পষ্ট ছিল।
Content marketing-এ সফল হতে হলে শুধু Reach নয়, বরং Engagement আর Conversion-এর দিকেও নজর দিতে হয়।
আমি আগে থেকেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাজ করছিলাম, তাই ভাবিনি এত কিছু শেখার থাকবে। কিন্তু এই কোর্সটা আমার স্কিলের অনেক গ্যাপ পূরণ করেছে — বিশেষ করে পারফরম্যান্স স্ট্র্যাটেজি, কনটেন্ট প্ল্যানিং আর ক্লায়েন্ট হ্যান্ডলিং-এর জায়গায়। রিয়েল প্রজেক্ট আর লাইভ মেন্টরিং একদম গেম-চেঞ্জার ছিল। নিঃসন্দেহে, পুরো অভিজ্ঞতাই ছিল ১০০% ভ্যালু ফর মানি!
DigiSlash এ কাজ করার পরও যখন এই কোর্সে যোগ দিলাম, বুঝলাম আসল শিক্ষা কত গভীরে যায়। স্ট্রাকচার্ড মডিউল, রিয়েল ক্লায়েন্ট প্রজেক্ট আর স্ট্র্যাটেজিক ফ্রেমওয়ার্কগুলো আমার এক্সিকিউশন স্কিলকে একদম নতুন লেভেলে নিয়ে গেছে। এখন ক্যাম্পেইন প্ল্যানিং থেকে এক্সিকিউশনে, আমি আরও বেশি ক্লিয়ার আর কনফিডেন্ট। এই কোর্স আসলেই কথা রাখে — রিয়েল স্কিল, রিয়েল স্ট্র্যাটেজি, আর রিয়েল গ্রোথ।
আমি এই কোর্সে ভর্তি হয়েছিলাম নিজের অনলাইন বিজনেস কীভাবে স্কেল করবো সেটা বোঝার জন্য। কিন্তু পেয়েছি তার থেকেও অনেক বেশি — কাস্টমার সাইকোলজি বোঝা থেকে শুরু করে নিজের হাতেই এফেকটিভ অ্যাড ক্যাম্পেইন রান করার স্কিল। এটা ছিল আমার বিজনেসের জন্য এখন পর্যন্ত করা সেরা ইনভেস্টমেন্ট।